নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং পাঠদান কার্যক্রম অনলাইনে নেওয়াসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বুটেক্স শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডীনসহ প্রক্টোরিয়াল বডিকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
আজ সকাল ১০ টা থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে ৫ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে। শিক্ষার্থীদের দাবি, এখনো পর্যন্ত তাদের অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার দাবি না মানায়, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রশাসন পরীক্ষা চলাকালীন কোনো শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তবে এতে আশ্বস্ত হতে পারে নি শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ” প্রশাসনের যে ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে সে অনুযায়ী আমরা চিকিৎসা সেবা নিলে করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তখন তারা নিশ্চয়ই দায়ভার নিবে না। তাছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন লকডাউন হলে পরবর্তী পরীক্ষা গুলো কিভাবে সম্পাদন করবেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি। “
আরেক শিক্ষার্থী বলেন,” আবাসিক হল গুলোর মধ্যে আইসোলেশন রুমের কথা প্রশাসন বলেছে। কিন্তু সেখানে ধারণ ক্ষমতার বেশি শিক্ষার্থী থাকেন,সেক্ষেত্রে বাকিরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
এর আগে গতকাল শনিবার, ৫ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৪ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আশ্বাস দেন দাবি মেনে নেওয়ার। আজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে নোটিশ আকারে প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো- অবিলম্বে হলসমূহে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে হল বন্ধ করতে হবে;
অবিলম্বে অফলাইনের বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহ সময় নিয়ে নতুন রুটিনে অফলাইনের বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে পারে ,অথবা বর্তমান রুটিনের প্রথম ২ টি পরীক্ষা পিছিয়ে বাকি পরীক্ষা গুলো পূর্বের রুটিন অনুযায়ী নিতে পারে।
করোনাকালীন সময়ে চলমান টার্ম পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে, অবশ্যই চলমান টার্মের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যেই আগামী টার্মের ক্লাস অনলাইনে শুরু করতে হবে এবং দিনপ্রতি অন্তত ৪টি এবং সর্বোচ্চ ৬টি ক্লাস নিতে হবে।
করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে এবং প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বিলম্ব হওয়ার দরুণ যদি কোনো শিক্ষার্থী হলে আক্রান্ত বা সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে, তার এবং তার পরিবারের সার্বিক দ্বায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।
দাবিগুলো আমলে নিয়ে আজকের মধ্যেই মৌখিক স্বীকৃতি এবং আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রশাসনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভার্সিটি ওয়েবসাইটে নোটিশ আকারে প্রকাশ করতে হবে।
শেষ খবর পর্যন্ত, এখনো শিক্ষার্থীরা উপাচার্য-রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply