নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বেজুড়ে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। বাংলাদেশেও এরই মধ্যে শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন এই ধরণ। গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১০ জন। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। সম্প্রতি সরকার দেশজুড়ে কিছু বিধিনিষেধও জারি করেছে। লকডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো তাদের পাঠদানের নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মত কোন সিদ্ধান্ত এখনো আসে নি৷
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই আগামী ১১ জানুয়ারি সশরীরে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে সশরীরে নিতে যাওয়া পরীক্ষার কী হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. শাহ আলীমুজ্জামানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নীরব থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব শিক্ষার্থীরা। দাবি জানিয়েছেন অনলাইন পরীক্ষার ব্যাপারে। আসন্ন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সশরীরের পরিবর্তে অনলাইনে দিতে বিশ্বিবদ্যালয়ের গ্রুপে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তারা। এক অনলাইন জরীপে, প্রায় ৯৫% শিক্ষার্থী অনলাইনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। বাকি ৫% পরিস্থিতি ভেদে অফলাইন-অনলাইনে দিতে ইচ্ছুক।
এই বিষয়ে ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, “বুটেক্স প্রশাসন যেহেতু সশরীরে পরীক্ষা নিতে জোর করছে, সেক্ষেত্রে আমি পরীক্ষা দিতে রাজি। তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যদি কোনো ভাবে করোনা আক্রান্ত হই, তবে চিকিৎসা বাবদ সকল দায়দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে। যেহেতু করোনার কারণে অনেক সেশনজটে আছি, সেহেতু আর চাই না পরীক্ষা স্থগিত হোক।”
উল্লেখ্য, এর আগের সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষাও দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর অবশেষে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
Leave a Reply