সুমাইয়া তাবাসসুম
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা পদক্ষেপ নিলেও শেষ পর্যন্ত কোনটিই সফল হয়নি। অনেকে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও প্লাস্টিক-পলিথিনের বিকল্প বানাতে কাজ করেছেন, যার কোনটিই বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি।
তবে এবার তিন তরুণ বানিয়েছেন পরিবেশ রক্ষাকারী বায়োপ্লাস্টিক। তারা হলেন রাসিক হাসান, রিয়াসাত জামান, আশফাকুল আজম। প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজেদের প্রতিষ্ঠান
ইকোভিয়া, যার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তারা স্থানীয় বাজারে পলিথিন বিকল্প হিসেবে দূষণহীন ব্যাগ সরবরাহ করছেন যা দেখতে একেবারে পলিথিনের মতোই।
“ জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যায় আমাদের অসচেতনতা এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এমন পণ্য ব্যবহারকে কিন্তু অনেকটাই দায়ী করা যায়। যেমন সাধারণ প্লাস্টিক মাটিতে মিশে যেতে প্রায় ৪৫০ বছর সময় লাগে, যদি এটিকে উন্মুক্তভাবে পরিবেশে ফেলে দেয়া হয়। কিন্তু ইকোভিয়া উদ্ভাবিত বায়োপ্লাস্টিক মাত্র ১৫০ দিনের ভেতর মাটিতে মিশে যেতে সক্ষম”, বলেন রাসিক হাসান।
ইকোভিয়া বর্তমানে পণ্য প্যাকেজিং হিসেবে বায়োপ্লাস্টিক ব্যবহার করছে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাস থেকে তারা স্থানীয় বাজারে তাদের পণ্য সাপ্লাই দিচ্ছে। আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে ইকোভিয়া এই পণ্য প্যাকেজিং ব্যাগের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে আশাবাদী এই উদ্যোক্তরা।
এধরনের নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ইকোভিয়া কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে রিয়াসাত জামান বলেন, “সাধারণত পরিবেশ রক্ষাকারী পণ্যের দাম বাজারের সাধারণ পণ্য থেকে বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে প্রায় সময়ই দাম ঠিক রাখাটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। এছাড়া এ পণ্যগুলা সাধারণ পণ্য থেকে কম স্বচ্ছ , এজন্য এটির স্বচ্ছতার মান ঠিক রাখাটাও বেশ কঠিন ব্যাপার। আর মানুষকে সচেতন করার বিষয় তো আছেই! “ ভবিষ্যতে পরিবেশ রক্ষাকারী এ পণ্যটার দামটা যাতে সবার নাগালের মধ্য থাকে সে জন্য ইকোভিয়া সবসময় চেস্টা করবে বলে জানান রিয়াসাত। এছাড়া পরিবেশের ক্ষতি করেনা এমন ইট এবং পণ্যর ভিন্নতা নিয়ে কাজ করতে চায় ইকোভিয়া।
Leave a Reply