তাউসিফ আদনানঃ দেশে পোশাক শিল্পের শুরু থেকেই গড়ে ওঠে ওয়েস্টেজ বা ঝুট কাপড়ের ব্যবসা। তবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ব্যবসার আকার। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক ঝুট পল্লী। ঢাকা ছাড়াও গাজীপুরের কোনাবাড়ি,নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রাম, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠছে এসব পল্লী। শুধুমাত্র এই ব্যবসার মাধ্যমে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জীবিকা চলে। যার মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছেন নারী কর্মী।
মূলত গার্মেন্টের প্যাটার্ন তৈরির সময় অনেকগুলো কাপড় এক সাথে কাটা হয়। সেখান থেকে টুকরো কাপড়গুলোই ওয়েস্টেজ বা ঝুট কাপড় হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা এক সময় ঝুট কাপড় বিনা পয়সায় সংগ্রহ করে বাজারে অল্প দরে বিক্রি করতো। এসব ঝুট কাপড় তুলা হিসেবে বালিশ বা তোশকে ব্যবহার হত। কিন্তু বর্তমানে সেগুলো থেকে বড় বড় কাপড়ের টুকরোগুলো আলাদা করে ফেলা হয়।
এসব ঝুট কাপড় দিয়ে পরবর্তীতে দেশের মার্কেটের জন্য বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্ট বা পোশাক তৈরি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাবসায়ীরা পুরানো স্পিনিং মেশিনের সাহায্যে ঝুটের এসব তুলা থেকে নতুন করে সুতা তৈরি করছেন। রিসাইকেল করা এসব সুতা চলে যাচ্ছে দর্জিদের কাছে আবার কখনো কখনো গার্মেন্টসেই ফেরত যাচ্ছে । বাংলাদেশে এই ঝুট ব্যবসার রয়েছে বড় সম্ভাবনা। প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দিনে ২০ কন্টেইনারের মতো পোশাক শিল্পের বর্জ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। প্রতি কন্টেইনার পণ্যের দাম ১৫ হাজার ডলারের মতো অর্থাৎ দিনে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আয় হচ্ছে। স্থল পথে ভারতে যাচ্ছে আরো অনেক। এছাড়া তুরস্ক, চীন, স্পেন, ইতালি ও মেক্সিকোতে রপ্তানি হচ্ছে ফেলে দেওয়া এসব ঝুট-কাপড়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মটিটরিং ও এই ব্যবসার ব্র্যান্ডিং করা গেলে খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এই ব্যবসা।
Leave a Reply